অবশেষে রাজামশাই তাহার রাজ্যে কলঙ্ক মুক্ত করিলেন।
লিখেছেন লিখেছেন আমীর আজম ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৩:২১:১৭ দুপুর
অনেক আগে শোনা একটা গল্প বলি :
একদিন এক চোর একটা বাড়িতে গেছে চুরি করতে। দেয়াল টপকানোর সময় নড়বড়ে দেয়াল ভেঙে একদম চোরের উপর। ফলাফল ঘটনাস্থলেই চোরের মৃত্যু।
চোরের আত্মীয় - স্বজন রাজার কাছে নালিশ জানাল। রাজা তো মহা গরম। " আমার রাজ্যে হত্যা। এটা কখনোই বরদাস্ত করা যাবে না। ডাকো বাড়ির মালিককে। "
বাড়ির মালিক কাঁপতে কাঁপতে হাজির। বলে " হুজুর আমার কোন দোষ নাই। যে মিস্ত্রি এই এই দেয়াল তৈরী করছে সব দোষ তার। "
রাজামশাই বলেন কথা ঠিক। "ডাকো সেই মিস্ত্রিকে। "
মিস্ত্রি হাজির। বলে " হুজুর আমার কোন দোষ নাই। যে কামলা পানি আর সিমেন্ট মেশাইছে সে পানি বেশী দিয়ে ফেলেছে। সব দোষ তার। "
রাজামশাই বলেন কথা ঠিক। " ডাকো সেই কামলা কে। "
কামলা হাজির। বলে " হুজুর আমার কোন দোষ নাই। সব দোষ সিমেন্ট মালিকের। তার সিমেন্টে সব বালু। "
রাজামশাই বলেন কথা ঠিক। " ডাকো সিমেন্ট মালিককে। "
সিমেন্ট মালিককে হাজির করা হল এবং তদন্তে বেরিয়ে আসল সত্যিই তার সিমেন্টে বালুর পরিমাণ বেশি।
রাজামশাই তাকে ফাঁসির হুকুম দিলেন। কিন্তু ফাঁসি কার্যকর করতে লেগে গেল বিপত্তি। সিমেন্ট মালিক যেমন পাতলা তেমনি চিকন তার গলা। ফলে ফাঁসির দড়ি তার গলায় আটকায় না। ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়।
চিন্তিত রাজা ডাকলেন সভাসদবৃন্দদের। বললেন :
- এই লোক এত চিকন কেন.?
- হুজুর মনে হয় খাওয়া দাওয়া ঠিকমতো করে না।
- কেন ঠিকমতো করে না ?
- হুজুর মনে হয় তার বরাদ্দ অংশ কেউ খেয়ে ফেলে।
- কে খেয়ে ফেলে ?
- হুজুর যেহেতু এই লোক রাজ্যে সবচেয়ে চিকন। তাহলে মনে হয় সবচেয়ে মোটা ব্যাক্তিটিই তার অংশ খেয়ে ফেলে।
রাজামশাই বলেন কথা ঠিক। দেখো এই রাজ্যে সবচেয়ে মোটা ব্যাক্তি কে আছে।
অবশেষে সবচেয়ে মোটা ব্যাক্তিকে নিয়ে আসা হল এবং তাকে ফাঁসি দেওয়া হল।
রাজামশাই হাঁফছেড়ে বাঁচালেন আর বললেন " যাক বাবা শেষ পর্যন্ত আমার রাজ্যের কলঙ্ক মোচন হল। "
বি : দ্র : গল্প কোন কিছুই বোঝানো হয় নাই। যদি কেউ কিছু বুঝে থাকে তাহলে সেটা তার নিজের উর্বর মস্তিষ্কের ফসল। আমার কিছু করার নাই। কেউ কিছু না বুঝে থাকলে সেটা তার অনুর্বর মস্তিষ্কের ফসল। এখানেও আমার কিছু করার নাই।
বিষয়: বিবিধ
১৪২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন